ওয়েব ডেস্ক : বুধবার পৃথিবী থেকে দেখা যাবে এক বিরল দৃশ্য! যা হল পূর্ণচন্দ্র ‘বিভার মুন’ (Beaver Moon) বা ‘বিভার সুপারমুন’। নভেম্বর মাসের এই পূর্ণিমা ‘বিভার মুন’ নামেই পরিচিত। ২০২৫ সালে এটি হল দ্বিতীয় সুপারমুন। গত অক্টোবরে দেখা গিয়েছিল ‘হারভেস্ট সুপারমুন’ (Harvest Moon)। আবার ডিসেম্বর মাসে দেখা যাবে ‘কোল্ড মুন’ (Cold Moon)। মূলত এই তিন মাসে চাঁদকে ১৪ শতাংশ বেশি বড় দেখা যাবে। অন্যদিকে ৩০ শতাংশ বেসি উজ্জলও দেখাবে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, চাঁদের কক্ষপথ আসলে উপবৃত্তাকার। পৃথিবীর (Earth) চারপাশে ঘুরতে ঘুরতে চাঁদ (Moon) যখন খুব কাছে চলে আসে, তখন চাঁদকে বড় দেখানোর পাশাপাশি উজ্জ্বল দেখায়। ‘বিভার সুপারমুন’-এর সময়েও পৃথিবীর অনেক কাছে চলে আসবে চাঁদ। তা প্রায় ৩ লাখ ৫৬ হাজার ৯৮০ কিলোমিটার দূরত্বে।
আরও খবর : আজ আকাশে দেখা যাবে ‘বিভার মুন’! কখন দেখবেন?
মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা জানিয়েছে, ৫ নভেম্বর সকাল ৮টা ১৯ মিনিটে (ইস্টার্ন স্ট্যান্ডার্ড টাইম) চাঁদ (Moon) শিখরে উঠবে। তবে ভারতের ঘড়িতে তখন সময় হবে বিকেল ৫টা বেজে ৪৯ মিনিট। ব্রিটেনে এই দৃশ্য দেখা যাবে নভেম্বর দুপুর ১টা ১৯ মিনিটে। ফলে দূরবীন বা টেলিস্কোপ ব্যবহার করলে চাঁদকে আরও স্পষ্টভাবে দেখা সম্ভব। আজ পূর্ণিমার সঙ্গে আকাশে নাক্ষত্রিক সৌন্দর্যও দেখা যাবে। যার মধ্যে রয়েছে প্লাইয়েডস এবং হাইডস নক্ষত্র ক্লাস্টার, ওরিয়ন নক্ষত্রপুঞ্জ এবং বৃহস্পতি গ্রহ।
‘বিভার মুন’-এর কেন বলা হয়?
কথিত আছে, ‘বিভার মুন’ (Beaver Moon)-এর উৎপত্তি হয়েছে নেটিভ আমেরিকান ও ইউরোপীয় ঐতিহ্য থেকে। নভেম্বর মাসে উত্তর-পূর্ব আমেরিকা ও কানাডায় বীভারেরা শীত যাপনের জন্য বাঁধ মজবুত করতো এবং খাবার মজুত করতো। তাই এই সময়ের পূর্ণিমাকে ‘বিভার মুন’ বলা হয়ে থাকে। অন্যান্য সংস্কৃতিতে এটিকে ‘ফ্রস্ট মুন’, ‘ফ্রিজিং মুন’ বা ট্রেডিং মুন নামে পরিচিত।
দেখুন অন্য খবর :







